মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রাফায় একটি ভবনে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে। ওই ভবনটিতে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঘোষণা করেন যে, মাঘাজি শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। এই শহরটি বেইত লাহিয়া থেকে উত্তরাঞ্চলে এবং খান ইউনিস থেকে দক্ষিণে অবস্থিত। সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে বেইত লাহিয়ায়। ফিলিস্তিনি মিডিয়া বলছে, সেখানে চারটি আবাসিক ভবন ধ্বংস করার সময় অন্তত ৩০ জন মারা গেছে।
স্থানীয় টেলিভিশন সাংবাদিক বাসেল খেইর আল-দিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েড প্রেস-কে বলেছে, তার পরিবারের ১২ জন সদস্য এদের মধ্যে একটি ভবনের ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে পড়েছে এবং তারা সবাই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের আরো ৯ জন প্রতিবেশীও নিখোঁজ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, খান ইউনিসের আল০আমাল হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি গোলার আঘাতে অন্তত ১০ নিহত হয়। এর আগের দিন একই ধরণের আরেকটি ঘটনা এই হাসপাতালের সামনে ঘটে এবং এতে প্রায় ৩১ জন মারা যায়।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, শহরটি ‘হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের একটি প্রধান কেন্দ্র।’ তিনি বলেন, তৃতীয় দিনের মতো বুরেইজ এলাকায় যুদ্ধ করছে ইসরাইলি সেনারা। তিনি আরো বলেন, তারা ‘অনেক সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহৃত অবকাঠামো ধ্বংস করছে।’
বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, বৃহস্পতিবারও তীব্র যুদ্ধ চলছে। ইসরাইলি ট্যাংকগুলো ঘনবসতিপূর্ণ বুরেইজ শিবিরে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ঢুকছে। হামাস একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে বলা হচ্ছে যে, হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি সেনা এবং যানকে টার্গেট করছে।
অন্যদিকে আইডিএফ বলেছে, রোববার মাঘাজিতে বিমান হামলার সময় ‘বেসামরিক নাগরিকদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’ তার জন্য তারা অনুতপ্ত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিমানগুলো ‘দুটি টার্গেটকে লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছিল যেগুলোর পাশেই হামাসের যোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছিল।’
সূত্র: বিবিসি